বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে গত ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকায় বিজয় র্যালির আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। বিকেলে বাংলামোটর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে বেশ বড়সড় মিছিল নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন নাগরিক কমিটির নেতারা।
এর আগে নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে ছোট আকারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও ঘটা করে শোডাউন দেখা যায়নি।
বিজয় র্যালিতে দেখা যায়, ঢাকার বিভিন্ন থানা থেকে সংগঠনের ব্যানার নিয়ে সদস্যরা উপস্থিতি হয়েছেন। এছাড়া ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা-থানা থেকেও ঢাকার র্যালিতে যোগ দেন অনেকে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির এই কর্মসূচি রাজনীতির মঞ্চে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ গত ৫ই অগাস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পর থেকেই আন্দোলনের নেতারা নতুন যে রাজনৈতিক দলের কথা বলে আসছেন তার প্রস্তুতি চলছে নাগরিক কমিটির অধীনে। যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও ভূমিকা রাখছে।
নাগরিক কমিটি বলছে, বিজয় র্যালিসহ ধারাবাহিক এরকম কমূর্সচি সামনে আরও আছে। মূলত এসব কর্মসূচির মাধ্যমেই একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি হবে। আগামী মাস দুয়েকের মধ্যেই স্পষ্ট হবে নতুন দলের কাঠামো।
কিন্তু বাংলাদেশে যখন আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষিত হয়ে গেছে, তখন আন্দোলনের নেতাদের নতুন দলের প্রস্তুতি বাস্তবে কতটা এগিয়েছে, এই দলে কারা থাকবেন, দলের নীতি-আদর্শ কী হবে সেসব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সম্ভাব্য দলের শীর্ষ নেতাই বা কে হবেন সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।
জাতীয় নাগিরিক কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা যাচ্ছে, শুরুতে ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যেই রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্য ছিল। তবে নানা জটিলতায় সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না। ফলে নতুন করে দল গঠনের সম্ভাব্য সময়সীমা ধরা হয়েছে ফেব্রুয়ারি।
দলটির নেতারাও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ‘দুয়েক মাসের মধ্যেই’ রাজনৈতিক দল আসবে এমন বক্তব্য দিয়েছেন।