শোয়েব তাসিন, স্টাফ রিপোর্টার
বরগুনা জেলার তালতলীর শুভসন্ধ্যা সৈকতে তিন দিনের সার্ভাইভাল প্রশিক্ষণে এসেছেন ১০০ নারী ও পুরুষ স্বেচ্ছাসেবকের একটি দল। বুধবার সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবকদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে সৈকতের প্রশিক্ষণস্থল।
‘আঁধার, দুর্যোগ, শান্তিতে, স্বেচ্ছাসেবক সবার আগে’— এই স্লোগান সামনে রেখে বুধবার থেকে তিন দিনব্যাপী অ্যাডভান্স সার্ভাইভাল স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। দেশে দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে এ ধরনের প্রশিক্ষণ এটাই প্রথম।
অক্সফ্যাম বাংলাদেশের সহায়তায় এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগো নারী।
বরগুনা জেলা রোভার স্কাউটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিক বিন আনসারী সুমনের সঞ্চালনায় প্রথম দিনের সূচনা অধিবেশনে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডো ট্রেনার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, জাগো নারীর স্বেচ্ছাসেবক প্রকল্পের কর্মকর্তা সুবীর কুমার কর প্রমুখ।
প্রশিক্ষণার্থীদের প্রথম দিনে গাইডলাইন পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেন।
স্বেচ্ছাসেবক প্রকল্পের কর্মকর্তা সুবীর কুমার কর বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০০-এর বেশি স্বেচ্ছাসেবক বেসিক দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ পেয়েছে। তাদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ১০০ জন অ্যাডভান্স সার্ভাইভাল প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।
বরগুনা জেলার পাঁচটি উপজেলা থেকে তালিকাভুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্য থেকে বিভিন্ন ধাপে বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে এই প্রশিক্ষণের জন্য ১০০ অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫০ জন নারী এবং ৫০ জন পুরুষ।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডো, স্কাউট ও বিএনসিসির অভিজ্ঞ ট্রেনার, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তার ও মানবিক কার্যক্রম বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণের বিভিন্ন অধিবেশন পরিচালনা করবেন।
প্রশিক্ষণ থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা দুর্যোগকালের কঠিন সময়ের জন্য শক্তিশালী হওয়ার কলাকৌশল শিখবে। প্রশিক্ষণটি ভবিষ্যতে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবকদের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। যাতে তারা দুর্যোগ আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে এবং দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে।
জাগো নারীর প্রধান নির্বাহী হোসনে আরা হাসি বলেন, করোনা মহামারির জরুরি সময় থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে জাগো নারী।
এই প্রশিক্ষণে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত দক্ষ প্রশিক্ষকদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে দুর্যোগ মোকাবেলার বাস্তবভিত্তিক কলাকৌশলগুলো শিখতে পারবে স্বেচ্ছাসেবকরা। ওই অ্যাডভান্স প্রশিক্ষণ বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।