দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেসওয়ে যোগাযোগে নতুনমাত্রা যুক্ত করলেও ক্রমেই দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠায় যাত্রীদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। প্রশস্ত সড়ক, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ইন্টারচেঞ্জ, ধীরগতির গাড়ির জন্য আলাদা সার্ভিস সড়ক থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনার হটস্পট এখন এক্সপ্রেসওয়ে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। তবে যাত্রী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় বাড়ছে দুর্ঘটনা।
এক্সপ্রেসওয়েতে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, এখানে সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮০ হলেও গাড়ি চালানো হয় একশোর উপরে।
একটি বাসের একজন যাত্রী বলেন, গাড়িগুলো প্রতিযোগিতা করে, কে কার আগে যাবে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা মনি করি, বেপরোয়া গতির কারণেই এত দুর্ঘটনা ঘটছে। যেহেতু এখন কুয়াশা পড়ছে তাই গতি কমানো না গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরো বাড়বে।
এদিকে পুলিশ বলছে, যানবাহনগুলো ট্রাফিক আইন না মানার কারণেই দুর্ঘটনা হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জের হাসাড়া হইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, আমাদের কাজটা হলো দুর্ঘটনার এবং অপরাধটা কমানো। বড় গাড়ির পাশে যদি মোটরসাইকেল বেপরোয়াভাবে চলে তাহলে বড় রিস্ক হয়ে যায়। আমাদের যদি সিস্টেম থাকতো…, এক্সপ্রেসওয়েতে এটা নিয়েন্ত্রণ করার কোনো সিস্টেম নাই।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম-আইটিএস’র আওতায় ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো এক্সপ্রেসওয়ে মনিটরিংয়ের চেষ্টা চলছে।