প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই লাইন শুরু হয়ে যেত। অ্যাভিগননের কাচ আর কংক্রিটের তৈরি কোর্টহাউসের বাইরে ব্যস্ত রিং রোডের পাশে ফুটপাথে শরতের ঠান্ডায় দাঁড়িয়ে থাকতেন একদল নারী। সব সময় নারীদেরই দেখা মেলে ওই লাইনে।
তারা কিন্তু দিনের পর দিন এসেছেন। কেউ কেউ সঙ্গে ফুলও নিয়ে এসেছেন। এরা সকলেই জিসেল পেলিকটকে প্রশংসা জানাতে জড়ো হন।
তার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে, কাচের দরজা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মিজ পেলিকট, তখন জড়ো হওয়া নারীদের মধ্যে কেউ কেউ আবার সাহস করে তার কাছে গিয়েছেন।
কেউ আবার চিৎকার করে বলেছেন, “আমরা তোমার সঙ্গে আছি, জিসেল।”
“সাহস রাখো।”
জিসেল পেলিকটকে সমর্থন জানাতে আসা বেশিরভাগ নারীই আদালতে থেকে গিয়েছিলেন জনসাধারণের জন্য নির্দিষ্ট কক্ষে নিজেদের আসন সুরক্ষিত করার আশায়। ওই কক্ষের টেলিভিশনের পর্দায় তারা মামলার বিচার প্রক্রিয়া দেখতে পারেন।
এদের সবার উদ্দেশ্য ছিল একটাই, জিসেল পেলিকটের সাহসিকতার সাক্ষী থাকা।
আদালতে চুপচাপ বসেছিলেন এই নারী, যিনি ব্যক্তিগত জীবনে একজন দাদীও। আর বিচার চলাকালীন তার চারপাশে উপস্থিত ছিলেন তারই ধর্ষকরা।
আদালত চত্বরে যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে একজন বছর ৫৪-র ইসাবেল মুনিয়ার। তিনি বলছিলেন, “আমি ওর (জিসেল পেলিকট) মধ্যে নিজেকে দেখতে পাই।”
“অভিযুক্তদের ব্যক্তিদের মধ্যে একজন এক সময় আমার বন্ধু ছিল। ন্যাক্কারজনক ব্যাপার।”
ওই চত্বরে উপস্থিত আর এক নারী সাদজিয়া জিমলি বলেন, “নারীবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি (জিসেল পেলিকট)।”