পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে মঞ্জুর মোর্শেদ মুবিন (২৪) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের ভাই মিনহাজুল আবেদীন মুহিত (২৭) শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে মঠবাড়িয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত মুবিন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। মঠবাড়িয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও মোঃ ইদ্রিস আলী মহারাজের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধার ভাগ্নেও ছিলেন।
মামলায় যাদের নাম রয়েছে:
থানাপাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলাম রনি (৩১), বাবু আকনের ছেলে মর্তুজা হাসান তিহাম (২১), জাকির হোসেনের ছেলে তানভীর (২১), মোস্তাক হোসেনের ছেলে রিফাত হোসেন (২১), নুহু চৌকিদারের ছেলে ফাহাদ চৌকিদার (২৬), বাবুল মৃধার ছেলে হৃদয় হোসেন (২১), মামুনের ছেলে শাওন মিয়া (২০), সবুজ নগরের মুরাদ খানের ছেলে মুমিন খান (২০), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এমাদুল হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২১), থানা পাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৩), হারুনের ছেলে নাঈম (২২) এবং ইমাম হোসেন (২০)।
ঘটনার বিবরণ:
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বিরোধের জেরে ১৬ জুলাই (বুধবার) বিকেলে টিকিকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপনের ছেলে সাজিদ জমাদ্দার (১৯) বাসা থেকে বের হয়ে হারুন কমিশনারের বাসার সামনে পৌঁছালে আসামি তানভীর ও রিফাত মোটরসাইকেলে করে তাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে।
তখন সাজিদ ফোন করে স্থানীয় মুবিনকে ঘটনাস্থলে ডাকেন। মুবিন সেখানে পৌঁছে বাঁধা দিলে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং আসামিরা তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
পরে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র ও চাইনিজ চাপাতি নিয়ে পৌর শহরের সনি র্যাংকস শোরুমের উত্তর পাশে জমাদ্দার বাড়ি রোডের সামনে প্রিন্স হোটেলের কাছে মুবিন, তামিম (২৩) ও রাহাত (২৭)-কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে মুবিন ও তামিমকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুবিন মারা যান। ১৮ জুলাই রাতে উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের মৃধা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
পুলিশের বক্তব্য:
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “নিহত মুবিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম রনি আরও একটি হত্যা মামলার আসামি। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”