সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রৌমারীতে আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে ট্রাক্টর জব্দ রাজিবপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত দম্পতির বাচার আকুতি। শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজের অধ্যক্ষের উদ্যোগে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেন ১২ শিক্ষার্থী জামালপুরের শ্রীপুরে সড়ক পাকা করণের দাবি বকসিগঞ্জ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মুত্যু কুয়াকাটায় অতিরিক্ত মদ্যপানে পর্যটকের মৃত্যু ঋণ নয় ক্ষতিপূরণের ন্যায্যতার দাবিতে পাথরঘাটায় সাইকেল র‍্যালি শেরপুরে জামায়াতে ইসলামী কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত জামালপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পেল মানবিক সহায়তা সেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধনের কেন্দ্রীয় পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রের আকৃতি

রিপোর্টার :

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রভাগ সম্প্রতি উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করেছে বলে বিজ্ঞানীরা মাত্র কয়েক মাস আগেই নিশ্চিত করেছেন। এখন আমাদের বাসযোগ্য এ গ্রহের একেবারের গভীরের রহস্য সম্পর্কে আরেক নতুন তথ্য উন্মোচন করলেন তারা।

 

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পৃথিবীর কেন্দ্রের আকৃতি বদলে যাওয়ার বিষয়টিও তারা শনাক্ত করেছেন। তাদের মতে, পৃথিবীর ভেতরের স্তরের গঠন বদলে যাচ্ছে।

পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ একেবারে মধ্যভাগের স্তরটি গরম, কঠিন ধাতব বলসদৃশ। এর চারপাশ ঘিরে রয়েছে তরল ধাতবের বহিঃস্তর।

 

গ্রহ বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে অনুমান করছিলেন, সময়ের পরিক্রমায় পৃথিবীর ভেতরের কঠিন কেন্দ্রভাগ বিকৃত হয়েছে। তবে বর্তমানে প্রথমবারের মতো তারা প্রমাণ পেয়েছেন, গত ২০ বছরে ভূ–কেন্দ্রের আকৃতিতে এ বিকৃতি ঘটেছে। ভূমিকম্পের তরঙ্গে ধরা পড়েছে এ বিকৃতির চিহ্ন।

পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগের ঘূর্ণন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিতর্ক অবসানে ২০২৪ সালে এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্পের তথ্য–উপাত্ত ব্যবহার করেন। তাতে তারা দেখেন, অভ্যন্তরীণ কেন্দ্র একসময় পৃথিবীর চেয়ে  ঘুরেছে। তবে ২০১০ সালের শুরুর দিকে কেন্দ্রের ঘূর্ণনের গতি মন্থর হয়ে আসে। এখন পৃথিবীর অন্যান্য অংশের তুলনায় উল্টো দিকে ঘুরছে এটি।

 

 

বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণালব্ধ তথ্য গতকাল সোমবার নেচার জিওসায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। নতুন ওই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার ক্ষেত্রে ১৯৯১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একই জায়গায় সংঘটিত ভূমিকম্পের তরঙ্গ সম্পর্কিত তথ্য ব্যবহার করেছেন তারা।

 

 

নতুন গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া বিজ্ঞানী ও ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক জন ভিদেল বলেন, পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রভাগের ঘূর্ণন নিয়ে বিজ্ঞানীরা এর আগে যে কাজ করেছেন, তা ভূকম্পনজনিত তরঙ্গের উচ্চতার পার্থক্য ব্যাখ্যা করতে সহায়তা করেছে। এ পার্থক্যই সংজ্ঞায়িত করছে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রের উপরিভাগের পরিবর্তনকে।

 

 

 

গবেষকেরা জানান, ভূ–কেন্দ্রের আকৃতির পরিবর্তন পৃথিবীর গভীরে অবস্থিত শক্তিগুলোর সূত্র সম্পর্কে ইঙ্গিত দিতে পারে, যা আমাদের চৌম্বকমণ্ডলের শক্তির জোগান দেয়। চৌম্বকীয় শক্তির এ অদৃশ্য রেখা আমাদের গ্রহকে সৌর আবহাওয়া ও প্রাণঘাতী বিকিরণ থেকে রক্ষা করে।


সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ