২৩ জুলাই বুধবার জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জে ইসমিতা জাহান জোতি নামে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীর আত্বহত্যার খবর পাওয়া গেছে। ২২ জুলাই মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ সরকারি ভোকেশনাল স্কুল এন্ড কলেজের কোয়ার্টারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ইসমিতা জাহান জোতির বাড়ি উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের বিন্দুরচর গ্রামে। সে কাউনিয়ারচর হাই স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।
কয়েক বছর আগে তার মা নাসরিন জাহান সুমির সাথে জোতির বাবা বুলবুুল আহমেদ বাদলের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে ২০২১ সালে নাসরিন জাহান সুমির দেওয়ানগঞ্জ সরকারি ভোকেশনাল স্কুল এন্ড কলেজের অফিস সহকারি/ গার্ড মোশারফের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয়।
সেই থেকে তারা ওই প্রতিষ্ঠানের কোয়ার্টারে বসবাস করেন। গত তিন মাস আগে ইসমিতা জাহান জোতির বাবা বুলবুল আহমেদ বাদলের বাড়ী থেকে দেওয়ানগঞ্জ সরকারি ভোকেশনাল স্কুল এন্ড কলেজের কোয়ার্টারে থাকা তার মা নাসরিন জাহান সুমি ও মোশারফ দম্পতির বাসায় বেড়াতে আসে।
পাশের বাসার ভারাটে এই স্কুলের কর্মচারী মোশারফের প্রতিবেশি স্বপন কুমার রায় জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে নটার দিকে মোশারফের বাসায় কান্নার আওয়াজ শুনতে পান তারা।
সে সময় সে ঘর থেকে বের হয়ে মোশারফের বাসায় ঢুকে দেখেন বারান্দার রুমে ইসমিতা জাহান জোতি ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তার মা কেঁদে কেঁদে জোতিকে ফাঁসী থেকে খোলার চেষ্টা করছেন। স্বপন কুমার রায় ঘরে থাকা দা দিয়ে গলায় দেওয়া ফাঁসের ওড়না কেটে দেন। সে সময় মোশারফ বাসায় ছিলেন না। তাকে ফোন করা হলে সে ঘটনাস্থলে আসেন এবং জোতিকে নিয়ে হাসপাতালে যান।
স্বপন কুমার রায় আরও জানান, জোতিকে মুমূর্ষূ অবস্থায় হাসপাতাল নেওয়ার সময় তিনিও সাথে ছিলেন। পথিমধ্যে জোতির মৃত্যু হয়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ জোতির লাশ থানায় নেন। বুধবার জোতির লাশ ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর মর্গে প্রেরণ করেন।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. নাজমুল হাসান জানান, ইসমিতা জাহান জোতির লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ দেন নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।