সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রৌমারীতে আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে ট্রাক্টর জব্দ রাজিবপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত দম্পতির বাচার আকুতি। শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজের অধ্যক্ষের উদ্যোগে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেন ১২ শিক্ষার্থী জামালপুরের শ্রীপুরে সড়ক পাকা করণের দাবি বকসিগঞ্জ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মুত্যু কুয়াকাটায় অতিরিক্ত মদ্যপানে পর্যটকের মৃত্যু ঋণ নয় ক্ষতিপূরণের ন্যায্যতার দাবিতে পাথরঘাটায় সাইকেল র‍্যালি শেরপুরে জামায়াতে ইসলামী কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত জামালপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পেল মানবিক সহায়তা সেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধনের কেন্দ্রীয় পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

মানুষের কষ্ট হচ্ছে, অস্বীকার করার উপায় নেই: গভর্নর

বরিশাল উপজেলা প্রতিনিধি

সংবাদটি শেয়ার করুন....

মানুষের কষ্ট হচ্ছে, অস্বীকার করার উপায় নেই: গভর্নর

উচ্চ মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া নানা পদক্ষেপ নিয়ে
 কথা বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
আহসান এইচ মনসুর

অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন হতে চলল। মূল্যস্ফীতি তো এখনো অনেক বেশি।

মূল্যস্ফীতি এত বেশি কেন?

 

 

আহসান এইচ মনসুর: মূল্যস্ফীতির হার আগে থেকেই বেশি ছিল। এটি এত দিন

কৃত্রিমভাবে কমিয়ে দেখানো হতো। মূল্যস্ফীতির প্রকৃত চিত্র এখন প্রকাশ করা

হচ্ছে। অর্থনীতিতে এত বড় গর্ত করে রেখে গিয়েছে আগের সরকার…। অতিরিক্ত

ঋণ, অর্থ পাচার ইত্যাদির মাধ্যমে এ গর্ত তৈরি করা হয়েছে। এত সহজে কি

এগুলো ঠিক করা সম্ভব?

 

 

 

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আপনারা কী করেছেন বা করছেন?

 মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক আছে। দেখি, আর কী করতে পারি। এখন একটু

থামলাম। মুদ্রানীতি পরে আরও সংকোচনমূলকও করতে পারি। নীতি সুদহার

কয়েক দফায় বাড়িয়েছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার পর ফল

পেতে কোনো কোনো দেশে ১৮ মাস লাগে। আমাদের লাগবে ১২ মাস। তা–ও

এখন থেকে নয়। একটু পেছনে গিয়ে গত জুলাই থেকে ১২ মাস। আমি খুবই

আশাবাদী।

 

 

আপনার এই আশাবাদের ভিত্তি কী?

 পণ্য আমদানিতে এখন আর ঋণপত্রের (এলসি) মার্জিন বা নগদ জমার সীমা

তুলে নেওয়া হয়েছে। অনেক পণ্যের ক্ষেত্রে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে আমদানি

শুল্ক। এসব পদক্ষেপের ইতিবাচক প্রভাব আগামী মাসেই পড়তে পারে, আবার

না–ও পারে। কারণ, আমাদের বুঝতে হবে গত মাসে একটা বন্যা হয়েছে। বন্যার

একটা প্রভাব কিন্তু বাজারে পড়তে বাধ্য। আবার বিশ্ববাজারে কিছু পণ্যের দাম

বেড়েছে। যেমন সয়াবিন তেলের দাম হয়ে গেছে প্রতি টন ১ হাজার ২০০ মার্কিন

ডলার।

 

 

আমার আশাবাদের অন্য আরেকটি ভিত্তি হচ্ছে রপ্তানিতে বিস্ময়কর প্রবৃদ্ধি। গত

চার মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। আর গত মাসে (অক্টোবর)

প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ শতাংশের বেশি। প্রবাসী আয়ও (রেমিট্যান্স) ভালো আসছে।

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারের কথা যদি বলি, এটা নিম্নমুখী

হবে ঠিক। তবে এ হার নেতিবাচক হয়নি, হবেও না। আর আমাদের মাথাপিছু

আয় কিন্তু উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়নি।

আপনার কথা অনুযায়ী এলসি খোলায় এখন আর কোনো সমস্যা থাকার কথা

নয়। কিন্তু কয়েকটি নিত্যপণ্যে এলসি কম খোলা হয়েছে বলে বাংলাদেশ

ব্যাংকের তথ্যে উঠে এসেছে।

 

 

আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার অবস্থা এখন ভালো আছে। কোনো ব্যাংক যদি এলসি

না খোলে বা কোনো ব্যবসায়ীকে ফিরিয়ে দেয়, তাহলে তিনি যেন আমার কাছে

আসেন।

নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে ভর্তুকি দামে টিসিবির মাধ্যমে কয়েকটি পণ্য

বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রাকে যে পরিমাণ পণ্য রাখা হয়, তা দিয়ে ৩৫০ জনকে

পণ্য দেওয়া যায়। লাইনে থাকে আরও মানুষ। এর প্রতিকার কী?

 

 মানুষের কষ্ট তো হচ্ছেই। এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই। আমরা চেষ্টা

করছি মানুষের কষ্ট কতটা লাঘব করা যায়।


সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ