ঘটনার সুত্রপাত বহু আগে থেকেই, ৯ তারিখেই নয়। সোহাগ ও মইন দুজনেই পুরান ঢাকায় ভাংগারীর ব্যবসা করেন। আগে যৌথভাবে করতেন, এখন আলাদাভাবে করেন। সোহাগ একসময় হাজি সেলিমের ক্যাডার ছিলেন এবং যুবলীগের সন্ত্রাসী বাল্লু শাহীনের সহযোগী ছিলেন। কিছুদিন আগে সোহাগ ও তার দলবল একই কায়দায় মইনের উপর আক্রমণ করে ঠিক যেভাবে আজ মইন সোহাগকে পাথর দিয়ে মারতে মারতে মেরেই ফেলে। মইনের উপর সোহাগের হামলার ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে এসছে।
মিটফোর্ডের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় অনেকেই বিএনপির উপর ব্লেমিং দিচ্ছে। মইনকে বিএনপির নেতা হিসেবে পরিচয় করাচ্ছে। অথচ সত্য হল- মইন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো না কখনোই। বরংচ গত দুই মাস আগে মইন ও তার দলবল পুরান ঢাকার বিএনপি রাজনীতিবিদ ইসহাক সরকারের উপর হামলা চালায়।
মিটফোর্ডে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা অবশ্যই ন্যাক্কারজনক। প্রতিবাদ জানানোর ভাষা জানা নেই। তবে একইভাবে না জেনে প্রমাণ ছাড়াই বিএনপিকে জড়িয়ে ব্লেমিং করাটাও ন্যাক্কারজনক।
মিটফোর্ডের ঘটনা ঘটেছে গত ৯ তারিখ, দুই দিন পার হলেও এ নিয়ে কোন আলোচনা সামনে আসেনি, তাহলে আজ কেন আসলো? এসেছে আরো একটা ন্যাক্কারজনক খুনের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে।
খুলনায় একজন যুবদল নেতাকে আজ হত্যা করা হয়েছে, হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি খুনীরা, তার পায়ের রগ কেটে খুনীরা তাদের পরিচয় রেখে গিয়েছে। খুনের চিহ্ন দেখে যখনই পরিচয় প্রকাশে জামায়াত শিবিরের নাম আসলো তখনি মিটফোর্ডের এই ঘটনাকে সামনে এনে বিএনপির নামে রঙ মিশিয়ে প্রচার শুরু হলো। অথচ খুলনার ঘটনা নিয়ে কোন আলোচনাই নেই।
মিটফোর্ডের ঘটনা যেমন সন্ত্রাসী কার্যক্রম, ঠিক তেমনি খুলনার ঘটনাও সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং ন্যাক্কারজনক। দুই ঘটনার কোন ঘটনাই সমর্থন যোগ্য নয়। তবে একটা খুনের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে গিয়ে আরেকটাকে সামনে এনে আলোচনাটা অন্যায়। ন্যায় তখনি হবে, যখন দুইটাই আমাদের আলোচনায় থাকবে এবং দুইটারই যথাযোগ্য বিচার হবে।
সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই, এদের কোন দল বা সংগঠন থাকতে নেই, এদের পরিচয় একটাই- এরা সন্ত্রাস। এদের নামের আগেপিছে কোন রাজনৈতিক দলের পরিচয় লাগিয়ে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনাগুলোকে হালকা করে দেয়াটা ঘোরতর অন্যায়।