হেডলাইন: মাঝ আকাশেই গুঁড়িয়ে দেওয়া ১৫টি পাক হামলা, ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পাল্টা প্রত্যাঘাতে উত্তপ্ত সীমান্ত
প্রতিবেদন:
পহেলগাঁও হামলার পর ভারতীয় সেনার পরিচালিত ‘অপারেশন সিন্দুর’ কার্যত এক নতুন সীমান্ত উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান গতকাল রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু সেইসব চেষ্টা ভেস্তে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনার আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ‘সুদর্শন চক্র’ নামে পরিচিত এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র অনুযায়ী, পাকিস্তান মোট ১৫টি হামলার চেষ্টা করেছিল। লক্ষ্য ছিল উত্তর ও পশ্চিম ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি—অবন্তিপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা ও ভুজ। মাঝ আকাশেই ভারত সফলভাবে ধ্বংস করে দেয় সব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষ পাকিস্তানের হানার অকাট্য প্রমাণ বলেই জানিয়েছে ভারত।
পাল্টা জবাব দিতে ভারতও সময় নষ্ট করেনি। আজ ভোরেই লাহোর সংলগ্ন পাকিস্তানি এয়ার ডিফেন্স রাডার ও সিস্টেমে হামলা চালায় ভারত। ব্যবহৃত হয় ইজরায়েল থেকে পাওয়া ‘হারপি’ ড্রোন, যার লক্ষ্যভেদে ভারতীয় সেনা ছিল নিখুঁত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তাদের হামলার ধাঁচেই প্রত্যাঘাত করা হয়েছে।”
এ অবস্থায় সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ব্ল্যাক আউট ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে ছয়টি সীমান্ত জেলার স্কুল, বাতিল করা হয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মীদের ছুটি। একই রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাজস্থান সরকারও।
ভারত-পাক সীমান্তের এই সাম্প্রতিক উত্তেজনা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র ও প্রতিরক্ষা বাহিনী। আপাতত সীমান্তে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি এবং সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে ভারত।