দেশের পোশাক কারখানাগুলোতে নারী শ্রমিকদের সংখ্যা ক্রমাগত কমে আসছে। বিজিএমইএ’র সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এই শিল্পে ১৯৮০ সালে নারী শ্রমিকদের হার ছিল ৮০ শতাংশ, যা ২০২১ সালে ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, মূলত ১৮ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত তারা এই শিল্পে নিয়োজিত থাকেন। বয়স ৩৫ হওয়ার পর তারা এই কাজ ছেড়ে বিকল্প পেশার দিকে ঝুঁকতে থাকেন।
বিকল্প হিসেবে তারা যেসব কাজকে বেছে নিচ্ছেন সেগুলো হচ্ছে: কৃষিভিত্তিক ও গৃহস্থালি এবং নিজের মালিকানাধীন দর্জির দোকানে কাজ করা। সাম্প্রতিক সময়ে কারখানাগুলোতে অস্থিরতা, বেশি টাকা উপার্জনের আশা ও তুলনামূলক স্বাধীন পেশার কারণে তারা এসব পেশায় আগ্রহী।
এভাবে নারী শ্রমিক কমতে থাকলে দক্ষ শ্রমিক স্বল্পতায় দেশের রপ্তানি আয়ের শীর্ষে থাকা তৈরি পোশাক খাতে স্থবিরতা নেমে আসতে পারে।
এ অবস্থায় নারীদের পোশাক খাতে আগ্রহী করে তুলতে ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে নিরাপদ ও নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরি, শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো ও সঠিক সময়ে ন্যায্য মজুরি দেওয়া জরুরি।
পাশাপাশি এ খাতের টেকসই উন্নয়ন ও বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে ডিকার্বোনাইজেশন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পরবর্তী পরিস্থিতি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা উৎপাদন পদ্ধতিতে প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয়করণের প্রভাবকে মোকাবিলা করা জরুরি।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) গুলশানের একটি হোটেলে ‘বুনন ২০৩০: বাংলাদেশের পোশাক খাতে মূল কার্যক্রম: গভীর পর্যবেক্ষণ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এটি উপস্থাপন করেন লাইটক্যাসল পার্টনার্স এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জাহেদুল আমিন।