মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে বগুড়া শহরতলীর ঠেঙ্গামারা এলাকায়
টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে এঘটনা ঘটে।
নিতহ মামুনুর রশিদ বগুড়া সদরের তেলীহারা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
তিনি নোয়াখালীতে এসিআই কোম্পানিতে এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত
ছিলেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন এতথ্য নিশ্চিত
করেছেন। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, নোয়াখালীতে কর্মরত
থাকা অবস্থায় তিনি নিখোঁজ হন। এদিকে আজ (মঙ্গলবার) সকালে
টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জানানো হয় এক ব্যক্তি ১৬
তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মামুনুর রশিদ সোমবার বিকেলে বগুড়া শহরতলীর
মাটিডালী মোড়ে হোটেল মাহাথিরে একটি কক্ষ ভাড়া নেন। রাত ১০ টার দিকে
তিনি বের হয়ে যান। রাত ১২টার দিকে হোটেলে ফিরে আসেন। ভোর ৪ টার
দিকে তিনি আবারও হোটেল থেকে বের হন।
টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মীদের বরাতে ওসি আরও
জানান, সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত ১০টার পর ওই ব্যক্তি টিএমএসএস
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭ তলা ভবন থেকে রেলিং ধরে নিচে লাফিয়ে
পড়ার চেষ্টা করেন।
উপস্থিত লোকজন তাকে সেখান থেকে বের করে দেন। ভোরে তিনি আবারও
হাসপাতালের ১৬ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন।
হাসপাতালের সিসি ফুটেজ দেখে পুলিশ লাফিয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত
হয়েছেন।
সদর থানার ওসি বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর
রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা
গেছে, স্ত্রীর সাথে মামুনুর রশিদের দাম্পত্য কলহ চলছিল। এর জের ধরে তিনি
আত্মহত্যা করতে পারেন।