মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা, ক্ষমতা হারালেন ডিসি-এসপি ও ইউএনও কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় পুলিশের ১৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত মাদারীপুরে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত শেরপুরে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুথানে শহীদ পরিবারগুলোর মাঝে সঞ্চয়পত্র বিতরন শেরপুরে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার জামালপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন , সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বকশীগ‌ঞ্জে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বৃদ্ধি ও ঝরে পড়া রোধে শিক্ষক-অভিভাবক সমাবেশ রৌমারীতে ২২ হাজার ১০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক কানাইপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক কারবারি কুটি মিয়া বিপুল অস্ত্র ও মাদকসহ আটক ফরিদপুরে পদ্মায় ধরা পড়ল ৪২ কেজি ওজনের বাগাড়, বিক্রি হলো ৬২ হাজার টাকায়

বরগুনায় পথশিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে বৃদ্ধের বিরুদ্ধে

মোঃ আজমল হুদা মিঠু, স্টাফ রিপোর্টার

সংবাদটি শেয়ার করুন....

বরগুনায় এক পথ শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার পর তাকে হাসপাতালে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ঘটনার সাতদিন পর ওই শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোসলেম (৬৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

শুক্রবার রাতে বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে মোসলেমকে গ্রেফতার করা হয়। পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা মোসলেম বরগুনা সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা।

 

পুলিশ সূত্রে যায়, আট বছরের শিশুটি বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বৈকালীন বাজার এলাকার বাসিন্দা। শিশুটির বাবা ভিক্ষুক ও মা মানসিক প্রতিবন্ধী। শিশুটি বরগুনা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাসমান অবস্থায় থাকে। অভিযুক্ত মোসলেম বরগুনা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন।

 

গত ৭ মার্চ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের গেটের কাছে পথ শিশুকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে মোসলেম। এ সময় শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। দ্রুত শিশুটিকে বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্থানীয়দের মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে হাসপাতালে দেখা যায়, শিশুটিকে রেজিস্ট্রার ভুক্ত করে ভর্তি করা হয়নি। পরে পঞ্চম তলার একটি ওয়ার্ডে তার সন্ধান মেলে।

 

শুক্রবার রাত ২টার দিকে পুলিশ শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে। এ সময় শিশুটির সঙ্গে তার ছোট বোনও ছিল। সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে শিশুটি নিজেই অভিযুক্ত মোসলেমকে শনাক্ত করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোসলেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।

 

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল হালিম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার করি। শিশুটির দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী, তিনজনকে আটক করি। এদের মধ্যে এক বৃদ্ধকে শিশুটি শনাক্ত করেছে। আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরণের ঘটনা সরকারি সংরক্ষিত প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কীভাবে ঘটেছে তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো অবহেলা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের কোনো স্টাফ জড়িত ছিল কি না তাও দেখা হচ্ছে।’


সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ