বরিশাল শহরের রুপাতলীতে সড়ক ও জনপদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শেষ না হতেই দুই ঘন্টার ব্যবধানে ফের বিএনপির নেতার পরিচয় দিয়ে দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বরিশাল নগরীর মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। রোজ সোমবার (১১ নভেম্বর ২০২৪খ্রিঃ) সকাল ১০টা থেকে সারাদিন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় নগরীর রূপাতলী থেকে দপদপিয়া ও কালিজিরা পর্যন্ত ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে দপদপিয়া পর্যন্ত সড়কের দুপাশে সড়ক ও জনপদের জমি লিজ নিলেও ক্ষমতার দাপটে বেশ কয়েক বছর ধরে তা নবায়ন করেনি ব্যবসায়ীরা।
এছাড়াও অনেকে অবৈধভাবে দখল করে সেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। সেই জমি উদ্ধারের জন্যই এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। সড়ক ও জনপদ বিভাগকে বরিশাল নগরীর সকল শ্রেনী পেশার মানুষেরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।
রুপাতলী বাস টোর্মিনালে উপস্থিত ছাত্র ছাত্রী ও অন্যান্য যাত্রীরা বলেছেন তার জন্য রুপাতলী ফুটপাতে গাড়ীর জন্য দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু ফুটপাত অবৈধ দখলদারিদের জন্য দাড়িয়ে থাকা সম্ভব হয় না। এই অবেধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে সড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকতে পারবেন বলে মত প্রকাশ করেছেন।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ উচ্ছেদ অভিযান শেষে সরেজমিন থেকে চলে যায়। এসময় ২৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামীম ও মোঃ জলিলের নেতৃত্বে খুটি গেড়ে ও রশি দিয়ে সীমানার চিহ্ন দিতে দেখা যায়। তারা বলেন, ২৪ নং সাবেক কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদের নেতৃত্বে সীমানা নির্ধারন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে দোকান ছিলো সড়ক ও জনপদ অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সব দোকান পাট গুড়িয়ে দিয়েছেন। এখানে বাহিরের কোনো লোকজন দখল দিতে না পারে তার জন্য আমরা খুটি গেড়ে রশি দিয়ে বেধে রেখেছি।
উক্ত অভিযানে বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সহযোগিতা করে। এ সময় বুলডোজার দিয়ে পাকা স্থাপনাসহ ছোট-বড় দুই শতাধিক দোকানঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।