চায়না শেখ, মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ভূমিদস্যু মন্টু শরীফ শিরোনামে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে জমির প্রকৃত মালিকগণ ও ভুক্তভোগী পরিবার।শনিবার (১ মার্চ) সকালে শহরের কলেজ রোড এলাকার তাঁর নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। প্রচারিত সংবাদে সমাজসেবক মন্টু শরীফকে ভূমিদস্যু আখ্যা দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
প্রচারিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মাদারীপুর অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদুল ইসলাম খান বলেন, ৪০ শতাংশ জমির ৩২০/৩২১/৪১ নং দলিল মূলে মালিক নুরুননেছা খানমের নিকট থেকে বিগত ৭/২/১৯৯৪ সালে ২০ শতাংশ জমি ৫৩৮নং হেবা দলিল মূলে ক্রয় করে আমার মা জাহানারা বেগম। উক্ত জমি ৯/১/২০০৭ সালে ক্রয় করে শরীফ মনোয়ার হোসেন মন্টু শরীফ।যাহার দলিল নং-৫২/৫৬ এবং শরীফ মনোয়ার হোসেন মন্টুর নামে বি.আর.এস রেকর্ড ভুক্ত।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেন মন্টু দপ্তরী বলেন, যে জমি লন্ডন প্রবাসী মোফাজ্জল হোসেন গং বায়না সুত্রে নিজের বলে দাবি করছেন সেই ৮৮ শতাংশ জমির মূল মালিক এন্তাজ উদ্দিন মুন্সী। ২০৯৬/৪৫ নং দলিল মূলে মালিক আব্দুর রশিদ দপ্তরীর ২২ শতাংশ, আব্দুল কাদের দপ্তরীর ২২ শতাংশ, আমার দাদা আব্দুল মজিদ দপ্তরীর ২২ শতাংশ ও আব্দুর রহমান দপ্তরীর ২২ শতাংশ ।
জাকির হোসেন আরো বলেন, আব্দুর রশিদ দপ্তরী তাঁর ২২ শতাংশ জমি এবং আব্দুর রহমান দপ্তরী তার ২২ শতাংশ জমি তাদের সর্বমোট ৪৪ শতাংশ জমি তৎকালিন সরকারি নাজিম উদ্দিন কলেজের নামে দান করেন এবং আব্দুল কাদের দপ্তরী তার ২২ শতাংশ জমি আবুল হোসেন মৃধার নিকট বিক্রয় করেন।
তিনি আরো জানান, আমার দাদা আব্দুল মজিদ দপ্তরী তার ২২ শতাংশ জমি তার বড় ছেলে অর্থাৎ আমার বাবা আব্দুল মালেক দপ্তরীর নামে ১৯৫৭ সালে রেকর্ডভুক্ত করে দেন যাহা এস.এ এবং বি.আর.এস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত। আমার বাবা আব্দুল মালেক দপ্তরী তার ২২ শতাংশ জমি হইতে ৪ শতাংশ জমি শরীফ মনোয়ার হোসেন মন্টু গং এর নিকট ২০০০ সালে বিক্রয় করেন। বাকি ১৮ শতাংশ হইতে ১৪ শতাংশ জমি ১৬-০৮-২০২৩ সালে শরিফ মনোয়ার হোসেন মন্টুর সাথে বায়না চুক্তিপত্র করা হয়। কাজেই শরীফ মনোয়ার হোসেন মন্টু যে জমিতে সাইনবোর্ড টানিয়েছে তা কোনো প্রকার ক্ষমতার অপব্যবহার বা জোরপূর্বক নয়।
উল্লেখ্য, সরকারি নাজিমুদ্দিন কলেজের দানকৃত ৪৪ শতাংশ জমি প্রফেসর মোবারক হোসেন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করে কলেজের উক্ত সম্পত্তি ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে নিজ নামে আত্মসাৎ করেন। আত্মসাৎকৃত সম্পত্তি হতে ১৪ শতাংশ জমি মোবারক হোসেন পুনরায় মোফাজ্জল হোসেন গং এর নিকট বিক্রয় করেন। মোফাজ্জল হোসেন গং উক্ত সম্পত্তি মোবারক হোসেনের নিকট হতে বুঝে না নিয়ে আমার বাবা আব্দুল মালেক দপ্তরীর নিষ্কণ্টক জমিতে আওয়ামী সন্ত্রাসী দ্বারা বিগত সরকারের আমলে বারবার দখল নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এবং আমার বাবা আব্দুল মালেক দপ্তরীকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা এস.এম. হারুন অর রশিদ, মাদারীপুর অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম শাহজাহান, জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ মো. মহিউদ্দিন হাফিজ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন শরীফ, ব্যবসায়ী নেতা খোকন বেপারী সহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও অন্যরা।