মোঃ আজমল হুদা মিঠু বরগুনা জেলা প্রতিনিধি
হাসপাতাল’টির দীর্ঘ ভোগান্তির আরেক নাম . -শহিদুল ইসলাম, প্রধান সহকারী (হেড এসিস্ট্যান্ট) বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল।
শহিদ করনিক কাম সাটমুদ্রাক্ষরিক হিসেবে চাকরিজীবন শুরুকরে, দেশের বিভিন্ন উপজেলা সদর হাসপাতালে চাকরি করে, বরগুনা ২৫০শয্যা হাসপাতালে স্থায়ী হন।
সুচতুর করনিক অতিসল্পসময়ে বাঁকাপথে উপার্যনের পথ রপ্তকরে মোটা টাকার মালিক বনেযেতে শুরুকরেন এবং উর্ধতন কর্তাদের ম্যানেজকরে পদোন্নতি’র চুড়ায় উঠেবসেন একলাফে।
ফাইল আটকিয়ে তদবির বানিজ্য করে ঔষধাগারের চুরি রুগীর ডায়েটে বানিজ্যসহ নানান কৌশলে দুহাতে টাকা কামিয়ে বড়বাবুর খেতাবে ভূষিত হন।
বাইক রাইডিং ও এনিমলপ্রেমি শহিদ শুরুর দিকে চরম দান্যতায় কর্মজীবন পার করলেও পাথরঘাটা উপজেলা হাসপাতাল হতে সোজা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যোগদানের পর আর পিছনফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
বিলাসি জীবনমানে তার -খামারে উন্নত জাতের গাভী ‘ রাজহাঁস’ খরগোশ ও লাখটাকা জোড়ামূল্যর কবুতর এবং হোন্ডার মডেল পরিবর্তন তার রুচির খোঁড়াক মিটায়।
বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু’র নেকদৃষ্টিতে বদলি ও যোগদানের পর আরোবেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বড় বাবু। তার হুকুমই যেন হাসপাতালে আইন।তার ভয়ে তটস্থ থাকতেন সকল অধস্তন স্টাফ কর্মচারী, কর্মকর্তারাও সমিহকরে কথা বলতেন।
বরগুনার কর্তা’দাদার আর্শ্বিবাদপুষ্ট শহিদের ইশারায় যে কোন স্টাফ সাসপেন্স বদলি ছিল ম্যাজিকেরমত। উর্ধতন বস’রা শহিদের কথা গলধোকরন করতেন টনিকেরমত।
রমারমা ক্লিনিক ব্যাবসা, রোগীর খাবারপথ্য সহ ঔষধ সরবরাহের ঠিকাদারিতেও তার ব্যাপক দখল। তার ইঙ্গিত ছাড়া কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেতনা। মোটা কমিশনসহ অধিকাংশ কাজে তার অর্ধেক গায়েবি শেয়ার থাকতো।
-বিত্তশালী হতেগিয়ে শহিদ স্বপ্ন দেখিয়েছেন অনেক’কে, তার সকল অপকর্মের সাফাই গাইতে, ব্লুপ্রিন্ট তৈরি কম্পোজ ড্রাফ করতো বিশ্বস্ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার আল-আমিন’কে তার বলিহতে হয়েছে। একই চিঠির আদেশে ক্লোজ আলামিন পটুয়াখালী ও শহিদ বাউফল।
অঢেল সম্পত্তি প্রাচুর্য কি নাই তার –
পুলিশ লাইন-ষ্টাফকোয়ার্টার লাগোয়া দৃষ্টিনন্দন মার্বেল পাথরের ডুপ্লেক্স বাড়ী, সুজার খেয়াঘাটে বিশাল বাউন্ডারির বাড়ি,পাথরঘাটায় কটেজ রিসোর্ড
_মোটকথা বিধি যেমন তাকে বিলাসী জীবন দিয়েছেন তেমনি তিনিও কুড়িয়েছেন প্রচুর ক্ষোভ,নিন্দা,ঘৃনা,তিরস্কার, ভৎসনা আর মানুষের অভিশাপের আয়ু।
তার বদলীতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে উচ্ছ্বসের জোয়ার -মিষ্টিবিতরন,প্রাণখোলা হাসি আলিঙ্গনে দিনপার করছেন ষ্টাফরা।