সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রৌমারীতে আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে ট্রাক্টর জব্দ রাজিবপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত দম্পতির বাচার আকুতি। শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজের অধ্যক্ষের উদ্যোগে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেন ১২ শিক্ষার্থী জামালপুরের শ্রীপুরে সড়ক পাকা করণের দাবি বকসিগঞ্জ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মুত্যু কুয়াকাটায় অতিরিক্ত মদ্যপানে পর্যটকের মৃত্যু ঋণ নয় ক্ষতিপূরণের ন্যায্যতার দাবিতে পাথরঘাটায় সাইকেল র‍্যালি শেরপুরে জামায়াতে ইসলামী কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত জামালপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পেল মানবিক সহায়তা সেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধনের কেন্দ্রীয় পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

অবশেষে নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি পেলেন বাংলাদেশি জেলেরা

রিপোর্টার :

সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ শাহাদাত হোসেন

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে। দীর্ঘ সাত বছর ৯ মাস পর হাইকোর্টের আদেশে জেলেরা মাছ ধরার অনুমতি পেয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে ৫টি শর্ত।

 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো স্মাকরপত্র সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সিভিল স্যুট শাখার সহকারী কমিশনার মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকে বলা হয়, মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশনের রুলনিশির আলোকে নাফনদীতে জেলেদের বৈধভাবে মাছ ধরা কার্যক্রম চালু করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশনা দেয়াা হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট দাখিল করা পিটিশন আবেদন যথাযথভাবে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত শর্তসাপেক্ষে নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি দেয়া হলো।
 
শর্ত গুলো হলো: সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমানায় অভ্যন্তরে নাফ নদীতে শাহপরীর দ্বীপ থেকে টেকনাফ জেটিঘাট পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবে। জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বিজিবির ৫টি নির্ধারিত পোস্টে টোকেন/পরিচয়পত্র দেখাবে এবং মাছ ধরা শেষে ফেরত আসার পর বিজিবির পোস্টে তল্লাশি করার ব্যাপারে বিজিবি সদস্যকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে।
 
কোনো জেলে চেকপোস্টে না জানিয়ে মাছ ধরতে পারবে না। কোনোক্রমে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। মৎস্য অধিদফতরের হালনাগাদ নিবন্ধিত জেলেদের তালিকা বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিতে হবে। যাতে কোনক্রমে নিবন্ধিত জেলে ছাড়া কেউ নাফ নদীতে মাছ ধরতে না পারেন। মাছ ধরার এই অনুমোদন সম্পূর্ণ সাময়িক। তিন মাস পর সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ অনুমতি নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
 
নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি পত্রটি হাতে পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
 
 
টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে নাফ নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর ৯ মাস পরে জেলেরা নাফ নদীতে মাছ ধরতে পারবেন।
 
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল গনি বলেন, ৭ বছর ৯ মাস পর নাফনদী খুলে দেয়াতে জেলেদের মাঝে উল্লাস ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ