সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রৌমারীতে আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে ট্রাক্টর জব্দ রাজিবপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত দম্পতির বাচার আকুতি। শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজের অধ্যক্ষের উদ্যোগে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেন ১২ শিক্ষার্থী জামালপুরের শ্রীপুরে সড়ক পাকা করণের দাবি বকসিগঞ্জ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মুত্যু কুয়াকাটায় অতিরিক্ত মদ্যপানে পর্যটকের মৃত্যু ঋণ নয় ক্ষতিপূরণের ন্যায্যতার দাবিতে পাথরঘাটায় সাইকেল র‍্যালি শেরপুরে জামায়াতে ইসলামী কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত জামালপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পেল মানবিক সহায়তা সেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধনের কেন্দ্রীয় পরিষদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

মাদারীপুরে দরপত্র ছাড়াই পানির দরে আশ্রয়ন প্রকল্পের বসতঘর  বিক্রি

মাদারীপুর প্রতিনিধি:- চায়না শেখ

সংবাদটি শেয়ার করুন....

চায়না শেখ, মাদারীপুর প্রতিনিধি ; মাদারীপুরে দরপত্র ছাড়াই পানির দরে একটি আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪০টি বসতঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় তিন প্রভাবশালীর চাপে ঘরগুলো বিক্রি করতে বাধ্য হন হতদরিদ্ররা। এতে আশ্রয়হীন অসহায় মানুষগুলো। ঘর ক্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। আর ঘর বিক্রির কোন সুযোগ নেই উল্লেখ করে উপজেলা প্রশাসন বলছে, লিখিত অভিযোগ পেলে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থ

২০০১ সালে হতদরিদ্রদের জন্য মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুরে একটি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করে সরকার। লোহার অ্যাঙ্গেলের কাঠামোর ওপর টিনের ছাউনি ও বেড়া দিয়ে তৈরি করা হয় ঘরগুলো। চারপাশের ভিত্তি পাকা থাকলেও মেঝে ছিল মাটির। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই সেখানে নতুন করে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। নতুন ঘর নির্মাণ কার্যক্রম শুরুও হয়েছে। এই সুযোগে অসহায় মানুষদের চাপ প্রয়োগ করে পানির দরে ঘরগুলো বিক্রি করতে বাধ্য করেন খোঁয়াজপুর ইউনিয়ননের আজিজুল আকন, নজরুল সরদার, জাকির হোসেন নামে প্রভাবশালী তিন ব্যক্তি। ৪০টি ঘর বিক্রি করা হয় মাত্র তিনলাখ টাকায়। হাতেগোনা কয়েকজন ৩৭৫০ টাকা করে পেলেও বাকিরা ঘরবিক্রির বিষয়টি জানেনও না। সোমবার সকালে ঘরগুলো অপসারনের কার্যক্রম শুরু হলে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। অন্যত্র ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন তারা। এ ব্যাপারে মুখ খুলতেও ভয় পাচ্ছেন অসহায় মানুষেরা।

ঘর ক্রয়ের বিষয় স্বীকার করেছেন অভিযুক্তদের একজন নজরুল সরদার। তার দাবি, সবার সম্মতিতেই তিনি ঘর কিনে অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু করেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দিয়েছেন মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা শাবাব।

এছাড়াও এর আগে একইভাবে চলতি বছরের মে মাসে আরো ৪০টি ঘর বিক্রি করা হয় সাড়ে তিন লাখ টাকায়। গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত ৮০টি পরিবার বর্তমানে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।


সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ