শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়ায় বিয়াল্লিশ কোটি টাকার মূল্যবান সাপের বিষ উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ এর বিশেষ অপরাধ সভা ও কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত শেরপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মালামাল গরুও মদ আটক মাদারীপুরের জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এর ভাগিনা রফিক মাতুব্বর আওয়ামীলীগ পুনর্বাসন ও যোগসাজশে চাঁদাবাজি এবং টেন্ডারবাজি অনেক অভিযোগ রয়েছে বরগুনায় কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত! ডিবি পরিচয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সাত সদস্য গ্রেফতার ! সৌদিআরব প্রবাসির স্ত্রীকে কু* পিয়ে হত্যা! বৃদ্ধাশ্রমে বৃদ্ধ মায়েদের পরিদর্শনে ও তাদের জন্য কিছু আহার সামগ্রী নিয়ে জান জনাব তারেক রহমানসহ অন্য অভিযুক্তরা চুড়ান্তভাবে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন।

স্মার্ট কার্ডে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

রিপোর্টার :

সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্টাফ রিপোর্টার

আজ থেকে সারা দেশে নতুন স্মার্ট কার্ডের (পরিবার কার্ড) মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ি এলাকার দীপিকার মোড়ে স্মার্ট কার্ডে পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

এসময় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আগে টিসিবির কার্ড নিয়ে অনেক নৈরাজ্য ও দুর্বৃত্তায়ন হয়েছিল, তা স্বীকার করতে হবে। সেই সমস্যা স্বীকার ও সংশোধনের প্রথম উদ্যোগ হিসেবে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিতরণ শুরু হলো। ফলে কাগজের ব্যবস্থা আজ থেকে বাতিল হলো। এখন পর্যন্ত মোট ৬৩ লাখ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৩৫ থেকে ৪০ লাখ কার্ড দেওয়া যাবে।

কার্ডধারী একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং চিনি ৭০ টাকায় বিক্রি করা হবে।

তিনি আরও বলেন, টিসিবি বছরে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার পণ্য ক্রয় করে। টিসিবির ক্রয় কার্যক্রমকে আরও বেশি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করা হবে। ক্রয় প্রক্রিয়ায় আরও বেশি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ করানো হবে। পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা যদি বাঁচানো যায়, তবে আরও বেশি মানুষের কাছে এই উপকার পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

চালের দাম বাড়ার সমস্যা স্বীকার করতে হবে উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমনের ভরা মৌসুম চলছে এখন। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী বাজারে চালের ঘাটতি নেই। সরকারের চালের মজুত, স্থানীয় উৎপাদন ও সংগ্রহে কোনো ঘাটতি নেই। বাজারে চালের যে দাম বেড়েছে, তা অযৌক্তিক।

তিনি বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে বিশেষ করে নাজিরশাইল ও মিনিকেট—এ দুটি চালের দাম বেশ বেড়েছে। পাইকারি পর্যায়ে যে দর বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে খুচরা পর্যায়ে। এর কারণ খোঁজার চেষ্টা চলছে।

দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যাপকভাবে আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সরকার আমদানি উদারীকরণের নীতিতে যাচ্ছে। গত দুই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, খাদ্য উপদেষ্টা, টিসিবি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাজারে সরবরাহব্যবস্থার উন্নতিতে আপাতত আমদানিকেন্দ্রিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এতে স্থানীয় বাজারে দাম কমে আসবে।

আলুর বাজার প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আলুর ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা দেখা গেছে। দাম বাড়ার পর আমদানির উদ্যোগ নিলে আলুর দাম কমে আসে। এ বছরের অভিজ্ঞতায় আগামী বছরের জন্য সরকারিভাবে আলু মজুত করা হবে।


সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ