এসময় আকাশে উড়তে দেখা গেছে এক ড্রাগন, কংকাল, সাপ, স্টার, চিল, বাদুর, অক্টোপাস, বক্সসহ বাহারি রং ও আকৃতির ঘুড়ি। নীল আকাশকে বর্ণিল করে তোলার এই দৃশ্য পদ্মার তীরে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
উৎসবে জেলা ও আশ পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো প্রতিযোগি বিভিন্ন আকৃতির ও রঙ্গের ঘুড়ি নিয়ে অংশ নেয়। পরে প্রতিযোগীদের মধ্য বিজয়ী ৩জনকে পুরষ্কার দেওয়া হয়।
মাদারীপুর থেকে আসা রোকেয়া বেগম বলেন, ঘুড়ি উৎসবে এসে অনেক ভালো লেগেছে। প্রথম বারের মতো ছেলেকে সাথে নিয়ে এসেছি। এই আয়োজন দেখে শৈশবের অনুভূতি পেয়েছি। মনে পড়েছে সেই হারানো দিনের কথা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফসানা বলেন, বান্ধবীদের সাথে নিয়ে এসেছি। অনেক শুনেছি এই ঘুড়ি উৎসবের কথা, এ কারণে এবার দেখতে এসেছি। খুবই আনন্দ পেয়েছি। অনেকদিন পর বাচ্চাদের মতো আনন্দ নিয়ে ঘুড়ি উড়িয়েছি।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, ঘুড়ি আমাদের বাঙালিদের ঐতিহ্য, আর এটাকে সারা বিশ্বের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই এ আয়োজন। এ উৎসব আমাদের তরুণ ও যুব সমাজকে মাদক ও অপরাধ প্রবণতা থেকে দূরে রাখবে।
‘ফরিদপুর সিটি পেইজ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠনের এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, পেপারটেক লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো: কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমদাদ হুসাইন, বিশিষ্ট শিল্পপতি ফারিয়ান ইউসুফ।