মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জাতীয় সংস্কার জোট জুলাই সনদ ঘোষণার সাথে আরও ৮ দফা দাবি জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার লালগালিচার সংবর্ধনা প্রত্যাখ্যান খুলনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মন্নুজান সুফিয়ান ও জেডিএল পরিচালক মিজানের বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট সিএমপি কমিশনার মহোদয়ের সাথে ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ মাদারীপুর জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড সংক্রান্ত আলোচনা! বরিশালে ৮ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি বরিশাল বিভাগ সমিতির পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান দেওয়ানগঞ্জ যুবদলের আহবায়কসহ ৭ জুয়ারু গ্রেফতার শেরপুর জেলা পুলিশের জুন মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত শেরপুর জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত

ইসলামপুরের লক্ষাধিক চরের মানুষ যমুনার ভয়াবহ ভাঙ্গান থেকে বাঁচতে চায়

বোরহান উদ্দিন, জামালপুর জেলা প্রতিনিধি

সংবাদটি শেয়ার করুন....

১৩ জুলাই রবিবার জামালপুর: জেলার ইসলামপুর উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক চরের মানুষ যমুনার ভয়াবহ ভাঙ্গান থেকে বাঁচতে চায়। তাদের দাবী ইসলামপুরের শিংভাঙ্গা থেকে প্রজাপতি পর্যন্ত এলাকায় ব্রীজ কাম রাস্তা এবং প্রজাপতি থেকে মন্ডলপাড়া পর্যন্ত যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ ও মন্ডলপাড়া থেকে কটাপুর হয়ে উলিয়া বাজার পর্যন্ত এলাকায় ব্রীজ কাম রাস্তা নির্মাণ করতে হবে।

এই উন্নয়নগুলো হলে ইসলামপুরের বেলগাছা, সাপধরী, চিনাডুলি ও নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন সমূহের অন্তত: ৩০টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের বসত বাড়ী ও হাজার হাজার একর ফসলি জমি যমুনার পেট থেকে উদ্ধার হয়ে উপজেলা শহরের মূল ভূখন্ডের সাথে একাকার হয়ে যাবে। সেই সাথে যমুনা চরের এই বিশাল অঞ্চলটি যমুনার পেট থেকে উদ্ধার করতে পারলে চরের এই অঞ্চলটিই একদিন হয়ে উঠবে দেশের একটি নতুন দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রে।

জানাগেছে, ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী, চিনাডুলি, বেলগাছা ও নোয়াপাড়া ইউনিয়ন সমূহের ৩০ টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ যমুনার তিনটি ছোট ছোট শাখা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গানে অতিষ্ট। এ ভাঙ্গা গড়ার সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে অনেকেই প্রতি বছরই হারায় বসতভিটা ও ফসলি জমি। তাদের আবারো নতুন করে গড়তে হয় বসত ভিটা ও অত্যান্ত কষ্ট করে চাষ করতে চরের উঁচু নিচু নতুন ভুমি।

এসব চরাঞ্চল বাসীর দাবী নদীর তীরে পাইলিং, উঁচু বাঁধ, রাস্তা ও ব্রীজ নির্মাণ করেই তাদের বসত ভিটা ও হাজার হাজার একর ফসলি জমি যমুনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করা সম্ভব। ইসলামপুরের পশ্চিম এলাকাবাসী তাদের নিজ নিজ এলাকা সমূহ নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার দাবীতে দফায় দফায় মানব বন্ধন কর্মসুচীও পালন করেছেন।

স্থানীয় অভিজ্ঞজনদের ধারণা, ইসলামপুরের শিংভাঙ্গা থেকে যমুনার একটি শাখা নদীর উপর তিনশ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রীজ এবং ওই ব্রীজ থেকে বালিভর্তী জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও সিসি ব্লক সেটিং করে প্রজাপতি পর্যন্ত একটি উঁচু বাঁধ কাম রাস্তা নির্মাণ করতে হবে।

 

প্রজাপতি থেকে বিশরশি হয়ে মন্ডল পাড়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকায় বালি ভর্তী জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও সিসি ব্লক সেটিং করে যমুনার বাম তীর সংরক্ষন করতে হবে। এছাড়াও উলিয়া বাজারের পশ্চিম পাশে তিনশ মিটার দীর্ঘ একটি ব্রীজ এবং মন্ডলপাড়া বাজারের পূর্ব পাশে দুইশ মিটার দীর্ঘ অপর একটি ব্রীজ ও উভয় ব্রীজের সাথে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারলে ইসলামপুরের বেলগাছা, চিনাডুলি, সাপধরী ও নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন সমুহের অন্তত: ৩০টি গ্রাম যমুনার পেট থেকে একেবারেই উদ্ধার হয়ে যাবে।

 

সেই সাথে যমুনা নদীর গতিপথও তার পুরনো মূল স্রোত ধারা দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকবে। সেই সাথে ইসলামপুরের অর্ধ লক্ষাধিক চরবসতি মানুষ যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গা গড়ার খেলা থেকে মুক্তি পাবে। তখন অনেকেই এখানে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং হ্যালি প্যাড স্থাপনের দাবীও করবেন ইনশা আল্লাহ।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব এএসএম আব্দুল হালিম জানান, ইসলামপুরের সাপধরী,চিনাডুলি, বেলগাছা ও নোয়াপাড়া ইউনিয়ন সমূহের নদী ভাঙ্গন এলাকা সমূহ তিনি পরিদর্শন করেছেন। চর বসতি অসহায় মানুষগুলোকে যমুনার ভয়াবহ ভাঙ্গান থেকে রক্ষা টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই তিনি দীর্ঘদিন যাবত চেষ্টা করছেন এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়ে আসছেন।

 


সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ