এবারের ঈদুল আজহায় ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে। এই হিসাব সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের।
এই ঈদে গরু-মহিষ কোরবানি হয়েছে ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি। ছাগল-ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি এবং অন্যান্য প্রাণী (উট, দুম্বা ইত্যাদি) কোরবানি হয়েছে ৯৬০টি। মঙ্গলবার রাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্তরায়িত দৈব নমুনায়নের (স্ট্র্যাটিফায়েড র্যান্ডম স্যাম্পলিং) ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে পশু কোরবানির এই হিসাব করা হয়েছে। এ জন্য প্রতিটি উপজেলার তিনটি গ্রাম (ছোট, মাঝারি ও বড়) থেকে অন্তত ১ শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের গত বছরের হিসাব অনুযায়ী, গত ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি পশু কোরবানি দেওয়া হয়। সে হিসাবে এ বছর পশু কোরবানি কমেছে, সংখ্যার হিসাবে যা ১২ লাখ ৭২ হাজার ১৮৪।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু সুফিয়ান মুঠোফোনে বলেছেন, এবার কোরবানি কিছুটা কম হয়েছে, এটা দৃশ্যমান। ছাগল-ভেড়া এ বছর কিছুটা কম কোরবানি হয়েছে। এতে মনে হচ্ছে ব্যক্তিপর্যায়ে কোরবানি কিছুটা কমেছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, এবার কোরবানির পশু অবিক্রীত ছিল ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩টি। এর কারণ হিসেবে অধিদপ্তর বলছে, এ বছর কোরবানির পশুর উৎপাদন বেশি ছিল।