জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ ও বকসিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত জামালপুর ১ আসন। এ আসনে জামায়াতে ইসলামী এমপি প্রার্থী নাজমুল হক সাঈদী আদর্শিক আন্দোলনের একটি প্রতিচ্ছবি। তিনি সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখতেন। কেউ তার সাথে কথা বললে, মনে হত তিনি তাকে সবার থেকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাকেই সবার থেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। মূলত সবার প্রতি তার একইরকম আন্তরিকতা ছিল। ছোট-বড়, ধনী গরীব-নির্ধন, জ্ঞানী-নির্জ্ঞান সবাইকে সমপরিমাণ ভালোবাসা বিলাতেন। দ্বীনি কাজে অর্থব্যয়ে তাকে উদারহস্ত দেখেছি।
মোহাম্মদ নাজমুল হক সাঈদীর গভীর জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা দেখেছি। তিনি থাকতেন যেকোনো প্রোগ্রামের মধ্যমণি। খুব সুন্দরভাবে দারসুল কুরআন পেশ করতেন। সাথে জীবনের অভিজ্ঞতা ও আন্দোলন-সংগ্রামের কথা তুলে ধরতেন। সবমিলিয়ে দারুণ একটি প্যাকেজ শ্রোতাদের উপহার দিতেন। তার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ববোধ সবাইকে মুগ্ধ করত। তিনি যখন বক্তব্য দিতেন তখন সামনের শ্রোতারা মুগ্ধদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত। তার পেশকৃত দারসুল কুরআন থাকত সবার থেকে আলাদা। মনে হচ্ছে যেন নতুন নতুন কথা ও হরেক রকমের তথ্য তিনি প্রদান করছেন।
একবার যমুনায় নৌকাভ্রমণে গেলাম। একজন ঘোষক ঘোষণা দিলেন অমুক ব্যক্তি এখন ইসলামী গান পরিবেশন করবেন৷ তখন তিনি সংশোধনী দিলেন, আরে আমাদের গাওয়া গান মানেই ইসলামী জ্ঞান। এটার আগে আর ইসলামী যুক্ত করার প্রয়োজন নেই। একবার এক বৈঠকে সিনেমার বিরুদ্ধে সামান্য বক্তব্য পেশ করলাম। তিনি জানালেন, সিনেমার মধ্যেও শিক্ষা রয়েছে। সমগ্র সিনেমায় যা কিছুই থাকুক না কেন সর্বশেষ প্রমাণিত হয়- আল্লাহই মহান, তিনিই শ্রেষ্ঠ।
একবার এক বক্তব্যে তিনি বললেন, আমরা যে কর্মী ও সদস্য বৃদ্ধি করি, এটা আমার কোনো কৃতিত্ব নয়। এই কৃতিত্ব সেই আগের লোকদের, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে সংগঠন আজকের অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে।. তিনি অত্যন্ত উদার মনের একজন মানুষ৷ তিনি শিল্প, সাহিত্য, কৃষ্টি, সঙ্গীত, সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে উৎসাহ যোগান। তিনি বলতেন, আমি নিজে এসব কাজ করতে না পারি, অন্তত উৎসাহ তো যোগাতে পারব। এমন ছিল তার মানসিকতা।
নিজ চোখে এমন উদার, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, রুচিশীল, জ্ঞানী, সূফী, আলেম মানুষ আমি কমই দেখেছি। তিনি নিজে একজন আইনজীবী৷ তিনি বলতেন, সবাইকে আইন পড়া দরকার। কারণ এতে অনেক বাস্তব বিষয়ে জ্ঞানার্জিত হয়।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ...