আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের সময় গণমাধ্যমকর্মীরা কী করতে পারবেন, আর কী পারবেন না, সেই নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। যেখানে ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার ও গোপন কক্ষের ভেতরে গিয়ে ছবি তোলায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
অদ্য ২৩ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রোজ বুধবার সাংবাদিকদের জন্য এ নীতিমালা জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এতে বলা হয়েছে, অনুমোদিত প্রিন্ট, টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, আইপিটিভি, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিদেশি সাংবাদিকদের কার্ড ও গাড়ির স্টিকার দেওয়া হবে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সামনে এ নীতিমালা জারি করলেও স্থানীয় সরকারের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও একই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
যেসব কাজ করা যাবে, যেসব কাজ করা যা যাবে না:
১.বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন; পরে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে তথ্য, ছবি ও ভিডিও নেবেন।
২. গোপনকক্ষের ছবি তোলা যাবে না
৩. একসঙ্গে দুজনের বেশি সংবাদকর্মী ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না। ভেতরে থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ ১০ মিনিট।
৪. ভোটকক্ষের ভেতরে নির্বাচনী কর্মকর্তা। এজেন্ট বা ভোটারের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না।
৫. ভোটকক্ষের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। সরাসরি সম্প্রচার করতে হলে ভোটকক্ষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে করতে হবে।
৬. ভোট গণনার সময় থাকতে পারবে, ছবি তোলা যাবে, কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
৭. ভোটকক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা প্রিজাইডিং কর্মকর্তার আইনানুগ নির্দেশনা মেনে চলবেন এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করবেন না। পাশাপাশি তারা কোনো প্রকার নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ বা অপসারণ করতে পারবেন না।
এ ছাড়া সংবাদ সংগ্রহের সময় প্রার্থী, কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যে কোনো ধরনের প্রচারণা বা বিদ্বেষমূলক প্রচারণা থেকে বিরত থাকবেন। ভোটগ্রহণ সহায়তায় নির্বাচনী আইন মেনে চলবেন।