ডিভোর্স লেটার পাওয়ার দেড় মাস পর যুবকের আত্মহত্যা
স্ত্রীর সাথে অভিমান করে রাশেদুল ইসলাম (২৮) নামের এক যুবক আত্মহত্যা
করেছে। বুধবার সকালে পুরান ঢাকার বংশাল মুকিম বাজার এলাকায় একটি ফ্লাট
থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাশেদুল ইসলাম মাদারীপুর
সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ঘটকচর এলাকার আয়নাল সরদারের
ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ২০১৯ সালে কেন্দুয়া ইউনিয়নের উত্তর কাউয়াকুরী
এলাকার কুন্দন বানের মেয়ে মাহিমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় পরিবারে না
জানিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে রাশেদুল। দুই পরিবার বিয়ে মেনে না নেওয়ায়
রাশেদুল পুরান ঢাকায় বংশালে একটি ফ্লাট বাসা ভাড়া করে থাকতেন। রাশেদুল
পুরান ঢাকার একটি ইলেকট্রিক দোকানে কাজ করতেন।
তাদের সংসার ভালই চলছিল। বছর কয়েক যেতেই রাশেদুল জানতে পারে তার
স্ত্রী মাহিমা অন্য পুরুষের সাথে নতুন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে। এ নিয়ে দুইজনের
মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে ফাটল ধরায়
নিহতের স্ত্রী তার মায়ের কাছে চলে যায়, গত দেড় মাস আগে তার স্ত্রী তাকে
ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেয়। এতে রাশেদুল মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরে।
গত মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে স্ত্রী মাহিমার সাথে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিওকলে
কথা হয় রাশেদুলের। এরপরই রাশেদুল ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা
করে। বুধবার সকালবেলা রাশেদুলের কোন সারা শব্দ না পেলে পুলিশকে খবর
দিলে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রাশেদুলের লাশ উদ্ধার করে। রাশেদুলের বড়
ভাই হৃদয় বলেন, আমার ভাইকে অনেক আদর যত্ন করে বড় করেছি। তারপরেও
ওই মেয়ের জন্য আমাদের সবাইকে ছেড়ে বিয়ে করে ঢাকা গিয়ে বাসা ভাড়া করে
থাকত, ওই মেয়ে একটা দুশ্চরিত্র।
স্বামী থাকতেও অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল ওর। ওই মেয়ে আমার ভাইকে
মেরে ফেলেছে আমি এর বিচার চাই। মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
আল মামুন বলেন, ঘটনা আমারা শুনেছি ঢাকার ঘটনা। তারপরেও আমাদের
কাছে যদি কোন আইনি সহায়তা চায়, তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত
ব্যবস্থা নিবো।