মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা, ক্ষমতা হারালেন ডিসি-এসপি ও ইউএনও কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় পুলিশের ১৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত মাদারীপুরে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত শেরপুরে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুথানে শহীদ পরিবারগুলোর মাঝে সঞ্চয়পত্র বিতরন শেরপুরে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার জামালপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন , সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বকশীগ‌ঞ্জে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বৃদ্ধি ও ঝরে পড়া রোধে শিক্ষক-অভিভাবক সমাবেশ রৌমারীতে ২২ হাজার ১০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক কানাইপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক কারবারি কুটি মিয়া বিপুল অস্ত্র ও মাদকসহ আটক ফরিদপুরে পদ্মায় ধরা পড়ল ৪২ কেজি ওজনের বাগাড়, বিক্রি হলো ৬২ হাজার টাকায়

নববর্ষে রাবিতে প্রদর্শিত হবে ‘সবচেয়ে বড়’ স্ক্রলচিত্র

ইউসুফ আলী, স্টাফ রিপোর্টার

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আগামীকাল পহেলা বৈশাখ, বাংলা নতুন বছর ১৪৩২ এর প্রথম দিন। সারা দেশে বিভিন্ন আয়োজনে পালিত হবে নববর্ষের উৎসব। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বাংলার লোকজ ঐতিহ্য ও লোকসংস্কৃতি নিয়ে তৈরি করা হয়েছে দেশের ‘সবচেয়ে বড়’ স্ক্রলচিত্র।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রদর্শন করা হবে এটি; চলবে দিনব্যাপী। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক মো.আবদুস সোবহান দুই মাসের প্রচেষ্টায় এ চিত্রকর্ম তৈরি করেছেন।

 

রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে  অধ্যাপক মো. আবদুস সোবহান এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন অধ্যাপক মো. আবদুস সোবহান।  তিনি বলেন, আমরা চারুশিল্পীরা রঙ ও তুলির ছোঁয়ায় ক্যানভাস রাঙিয়ে তুলি। যেখানে ফুঁটে উঠে প্রকৃতি, গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস ঐতিহ্য এবং লোকজ সংস্কৃতি। একজন চারুশিল্পী হিসেবে আমি এ বিষয়বস্তুকে দুই মাসের প্রচেষ্টায় ৩০০×২ ফিট দৈর্ঘ্যের পেইন্টিং (মিশ্রমাধ্যম) চিত্রায়িত করেছি।

এই স্ক্রলচিত্রটিতে স্থান পেয়েছে দেশের গ্রাম-বাংলার হারানো লোকজ-ঐতিহ্য। আমার জানা মতে, ৩০০×২ ফিট দৈর্ঘ্যের পেইন্টিং বাংলাদেশে ইতোপূর্বে প্রদর্শিত হয়নি।

 

তিনি আরও বলেন, এই স্ক্রলচিত্রে বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসব (বাংলা নববর্ষ, নবান্ন, পৌষসংক্রান্তি), কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, লোকমেলা, লোকসংগীত, লোকসাহিত্য, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, শৈশব, মাছধরা, প্রাত্যহিক ব্যবহৃত বিষয়বস্তু প্রভৃতি জায়গা পেয়েছে।

 

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক বলেন, গ্রামবাংলার ডাঙগুলি, হাডুডুসহ প্রাচীন খেলা; জাল দিয়ে মাছ ধরা, ধান ভানার মতো লোকজ ঐতিহ্য আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে একদম অচেনা। তরুণ প্রজন্ম আধুনিকতার ভিড়ে এই ঐতিহ্যগুলোকে হারাতে বসেছে। আমি আমার অঙ্কনের মাধ্যমে আরও একবার আমাদের এই সুন্দর অতীতকে মনে করিয়ে দিতে চাই।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক বনি আদম।


সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ