শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ এর বিশেষ অপরাধ সভা ও কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত শেরপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মালামাল গরুও মদ আটক মাদারীপুরের জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এর ভাগিনা রফিক মাতুব্বর আওয়ামীলীগ পুনর্বাসন ও যোগসাজশে চাঁদাবাজি এবং টেন্ডারবাজি অনেক অভিযোগ রয়েছে বরগুনায় কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত! ডিবি পরিচয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সাত সদস্য গ্রেফতার ! সৌদিআরব প্রবাসির স্ত্রীকে কু* পিয়ে হত্যা! বৃদ্ধাশ্রমে বৃদ্ধ মায়েদের পরিদর্শনে ও তাদের জন্য কিছু আহার সামগ্রী নিয়ে জান জনাব তারেক রহমানসহ অন্য অভিযুক্তরা চুড়ান্তভাবে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন। শেরপুরে বিদেশী মদসহ ৩ জন গ্রেফতার

শেবাচিম নিয়ে ফেসবুকে লেখা এক রোগীর আক্ষেপ!

রিপোর্টার :

সংবাদটি শেয়ার করুন....

মোঃ রাশেদ মৃধা,  স্টাফ রিপোর্টার

 

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে জরুরী বিভাগে রুগী নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে টিকেট নিতে হবে। টিকেট ১০টাকা, টিকেট নেওয়ার পর, যদি রোগী ভর্তি করতে হয়। লিখা ১৫টাকা কিন্তু টিকেট ২০টাকা। টিকেট নেওয়ার পর রোগীকে হুইল চেয়ারে করে ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে ১০০টাকা, আর রোগীর অবস্থা খারাপ হলে ট্রলি দিয়ে নিতে ২০০টাকা, ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার পর রোগীর সাথে ১জনের বেশি প্রবেশ করলে জন প্রতি ২০টাকা, ৫০টাকা হলে বেড আছে। না হয় মাটিতে। রোগী ভর্তি শেষ। এবার ডাক্তারের পালা। ডাক্তার আসবে রোগী দেখবে। তারপর শুরু হবে পরিক্ষা। প্রথমে কমপক্ষে ৪টি পরিক্ষা সাথে ১বস্তা স্যালাইন ও কিছু ঔষধ। পরিক্ষার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত স্যালাইন আর ঔষধ চলবে।

 

রিপোর্ট আসার পর আরেক ডাক্তার আসবে সে দেখে আবার অন্য পরিক্ষা দিবে।  এভাবে প্রতিদিন ডাক্তার পরিবর্তন হবে আর একটার পর একটা পরিক্ষা দিবে। পরিক্ষা করাতে হুইলচেয়ারে নিয়ে গেলে ১০০টাকা আর ট্রলিতে নেওয়া লাগলে ২০০টাকা ওয়ার্ড বয়কে দিতে হবে। আর প্রতিদিন নতুন নতুন ঔষধ যোগ হবে।

 

প্রতিদিন রোগীর সাথে দেখা করতে আসলে দারোয়ানকে খুশি করতে হবে।সব পরিক্ষা শেষ। এবার অপারেশন এর পালা। অপারেশন করতে ৬০০০ থেকে ৭০০০ টাকার ঔষধ কিনে ডাক্তারের হাতে দিতে হবে,  যাহা অফেরতযোগ্য।অপারেশনে যদি রোগী মারা যায় টাকা এবং মানুষ সব শেষ। হাতে ভিক্ষার বাটি।

 

আর অপারেশন যদি সাক্সেস হয় তবে অপারেশন থিয়েটারের বয়কে খুশি করতে হবে। দারোয়ানকে খুশি করতে হবে এবং প্রতিদিন ড্রেসিং করার জন্য ও খাওয়ার ঔষধ কিনতে হবে, রোগী সুস্থ্য। এবার রিলিস দেওয়ার পালা।

 

দারোয়ানকে খুশি করতে হবে। ওয়ার্ড বয়কে খুশি করতে হবে। সবাইকে খুশি করে লে#টা হয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তারপর বাহিরে এসে দেখবেন জাতির সেই ব্যানার ঝুলে আছে,আমি ও আমরা সবাই সাধু!!

এ কেমন নিয়ম? এর কি কোন প্রতিকার নেই


সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ