মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় পুলিশের ১৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত মাদারীপুরে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত শেরপুরে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুথানে শহীদ পরিবারগুলোর মাঝে সঞ্চয়পত্র বিতরন শেরপুরে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার জামালপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন , সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ ও সামাজিক সমস্যা নিরসনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বকশীগ‌ঞ্জে শিক্ষার্থী উপস্থিতি বৃদ্ধি ও ঝরে পড়া রোধে শিক্ষক-অভিভাবক সমাবেশ রৌমারীতে ২২ হাজার ১০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি আটক কানাইপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক কারবারি কুটি মিয়া বিপুল অস্ত্র ও মাদকসহ আটক ফরিদপুরে পদ্মায় ধরা পড়ল ৪২ কেজি ওজনের বাগাড়, বিক্রি হলো ৬২ হাজার টাকায় রৌমারীতে আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে ট্রাক্টর জব্দ

কালকিনিতে প্রাইমারী স্কুলের কক্ষ দখল করে আ.লীগ নেতার বসবাসের অভিযোগ

রিপোর্টার :

সংবাদটি শেয়ার করুন....

চায়না শেখ
মাদারীপুুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরের কালকিনি ১৫৪ নং নতুন চরদৌলত খাঁন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিজ তলার সব কয়টি রুম দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন স্থানীয় প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা মো.শহিদুল সরদার। এতে পাঠদানসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর। অপরদিকে ওই ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। তবে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি অভিযুক্ত মো. শহিদুল সরদার।
সরেজমিন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিডিখাঁন ইউনিয়নের চরদৌলত খান ১৫৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নির্মাণের পর থেকে প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত স্থানীয় প্রভাবশালী আ.লীগ সমর্থক মোঃ শহিদুল সরদার পুরো পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উক্ত স্কুলের নীচ তলা দখল করে বসবাস করে আসছেন।
এমনকি তিনি ওই ভবনে হাস,মুরগী ও কবুতর পালন করে আসছেন। এতে প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। আর এতে বিভিন্ন রকম সমস্যার সৃষ্টি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কমলমতি শিক্ষার্থীদের। তিনি ব্যক্তিগতভাবে স্কুলটির চতুরদিকে বেড়া দিয়ে ঢেকে রেখেছেন।
স্কুলটিকে তিনি পুরোপুরিভাবে বসতবাড়ির পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছেন। এ কারণে ওই স্কুলে কোন শিক্ষক চাকুরী করতে যেতে চান না বলে অভিযোগে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, স্কুলে ভিতরে হাস মুরগী পালনে চারদিক থেকে গন্ধ আসে,আমাদের খুবই সমস্যা হয়।
এক সহকারী শিক্ষক জানায়, এই স্কুলের নাম শুনলে কোন শিক্ষক এখানে আসতে চায় না। কারন দখলে ও দুষনে বিদ্যালয়টি ভরে গেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, আমি নিজেও কয়েক বার তাকে বলেছি, স্কুল ভবনের জায়গা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে। কিন্তু দখলকারী শহিদুল সরদার আমাদের কোন কথাই শুনছেন না। কোন পাত্তাই দিচ্ছে না।
বিষয়টি ইউএনও স্যারকে অবগত করেছি। আশাকরি দ্রুত দখলমুক্ত হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ জানান, বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ