শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়ার মহাস্থানগড়ে আগমন হলো *Thoughts Of Billal*. বগুড়ায় বিয়াল্লিশ কোটি টাকার মূল্যবান সাপের বিষ উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ এর বিশেষ অপরাধ সভা ও কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত শেরপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মালামাল গরুও মদ আটক মাদারীপুরের জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এর ভাগিনা রফিক মাতুব্বর আওয়ামীলীগ পুনর্বাসন ও যোগসাজশে চাঁদাবাজি এবং টেন্ডারবাজি অনেক অভিযোগ রয়েছে বরগুনায় কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত! ডিবি পরিচয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সাত সদস্য গ্রেফতার ! সৌদিআরব প্রবাসির স্ত্রীকে কু* পিয়ে হত্যা! বৃদ্ধাশ্রমে বৃদ্ধ মায়েদের পরিদর্শনে ও তাদের জন্য কিছু আহার সামগ্রী নিয়ে জান

শেখ মুজিব জাতির পিতা নন, স্বাধীনতায় তার ত্যাগ স্বীকার করি: নাহিদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

সংগৃহীত

সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্বাধীনতা অর্জনে শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তবে স্বাধীনতা-পরবর্তী শাসনামলের জন্য তাকে জাতির পিতা বলতে রাজি নন তিনি। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন। স্বাধীনতা অর্জনে তার ভূমিকা ও ত্যাগ  আমরা স্বীকার করি, কিন্তু তার শাসনামলে সংঘটিত জাতীয় বিপর্যয়ও আমরা স্মরণ করি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের করদ রাষ্ট্রে পরিণত হয়, জনগণ-বিরোধী ১৯৭২ সালের সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয় এবং শুরু হয় লুটপাট, রাজনৈতিক হত্যা ও একদলীয় বাকশাল স্বৈরশাসনের ভিত্তি রচনা।’

 

নাহিদ ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মুজিব পূজা ও মুক্তিযুদ্ধ পূজা—এ এক রাজনৈতিক মূর্তিপূজা, যা জনগণকে দমন, দেশ লুট এবং নাগরিকদের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে বিভক্ত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

 

এটি ছিল গণতন্ত্রের মুখোশে আধুনিক জমিদারি। অথচ মুক্তিযুদ্ধ ছিল সমগ্র জনগণের সংগ্রাম। দশকের পর দশক ধরে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে নিজের বংশগত সম্পত্তি মনে করে শাসন করেছে, জবাবদিহিতাহীনভাবে ক্ষমতা ভোগ করেছে এবং মুজিবের নাম ব্যবহার করে প্রতিটি দুর্নীতি ও দমনকে ন্যায্যতা দিয়েছে।’

 

এই নেতা লেখেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান এই জমিদারি ভেঙে দিয়েছে। আর কখনো কোনো ব্যক্তি, পরিবার বা মতবাদ জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না বা বাংলাদেশের ওপর ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দিতে পারবে না। ‌‘জাতির পিতা’ উপাধি কোনো ঐতিহাসিক সত্য নয়। এটি আওয়ামী লীগের তৈরি এক ফ্যাসিবাদী হাতিয়ার, যা ভিন্নমত দমন ও রাষ্ট্রের একচেটিয়া মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশ সমানভাবে সব নাগরিকের, এর জন্ম বা ভবিষ্যতের মালিকানা কোনো ব্যক্তির হতে পারে না।

 

 

ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম লেখেন, ‘মুজিববাদ হচ্ছে শেখ মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধের নামে পরিচালিত এক ফ্যাসিবাদী মতবাদ। আমাদের সংগ্রাম কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং এই ফ্যাসিবাদী মতবাদের বিরুদ্ধে। মুজিববাদ হচ্ছে ফ্যাসিবাদ ও বিভেদের মতবাদ। এর মানে গুম, হত্যা, ধর্ষণ ও পদ্ধতিগত মানবাধিকার লঙ্ঘন।

 

এর মানে জাতীয় সম্পদ লুট ও বিদেশে পাচার। এর মানে ইসলামভীতি, সাম্প্রদায়িকতা ও সংখ্যালঘু ভূমি দখল। এর মানে জাতীয় সার্বভৌমত্ব বিদেশি শক্তির কাছে বিক্রি করা। ষোলো বছর ধরে মুজিবকে রাজনৈতিকভাবে জীবিত রাখা হয়েছে এক অস্ত্র হিসেবে, আর তার মূর্তির আড়ালে চলেছে অপহরণ, খুন, লুটপাট ও গণহত্যা।’

 

তিনি লেখেন, ‘মুজিববাদ আজও এক জীবন্ত বিপদ। একে পরাজিত করতে হবে রাজনৈতিক, আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের মাধ্যমে। আমাদের সংগ্রাম একটি প্রজাতন্ত্র গড়ার, একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার। যেখানে কোনো দল, বংশ বা নেতা জনগণের ঊর্ধ্বে নয়। বাংলাদেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি জনগণের প্রজাতন্ত্র।’


সংবাদটি শেয়ার করুন....



আমাদের ফেসবুক পেজ