অদ্য ২৯ জুলাই ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ রোজ মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীল পরিকল্পনায় যুক্ত’ থাকার অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার হয়েছে ২জন।
সাভার থেকে গ্রেফতার সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা সোহেল রানা খোকন ও তার সহযোগী বিদ্যুৎ হোসেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী নাশকতার কাজের পরিকল্পনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ঢাকার সাভার থেকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পতিত আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল রানা খোকনসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২৮ জুলাই রোজ সোমবার দিবাগত রাতে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের ফুডকোর্ট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা ২৯ জুলাই ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ রোজ মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের ফেরদৌস খানের ছেলে
১/ সোহেল রানা খোকন (৪২) তিনি সাঁথিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কথিত সরকারের উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন।
অপরজন তার সহযোগী একই উপজেলার আমোষ গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে
২/ বিদ্যুৎ হোসেন (৩৫)
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের ফুডকোর্ট এলাকা থেকে সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল রানা খোকন ও তার সহযোগী বিদ্যুৎ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও নাশকতার কাজের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা জানান, তাদের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইন অনুযায়ী আজ (২৯ জুলাই) আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে।
মঙ্গলবার থেকে আগামী ১১ দিন নৈরাজ্যের আশঙ্কায় সারাদেশে পুলিশের বিশেষ শাখা-এসবির ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারির মধ্যেই পুলিশ তাদের আটক করে।
মূলত নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগকে নিয়ে হঠাৎ নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। তাদের আশঙ্কা, এই রাজনৈতিক দলটি দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষত, আগামী ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে দলটির কিছু নেতা ও কর্মী সহিংসতা বা হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তাই পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পক্ষ থেকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে চিঠি দিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এসবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগ গোপনে একত্রিত হয়ে রাজনৈতিক সহিংসতা বা হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে এবং অনলাইনে ও অফলাইনে সংঘবদ্ধ প্রচারণার মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে। এসব বিষয় মাথায় রেখে সোমবার (২৮ জুলাই) দেশের বিভিন্ন পুলিশের ইউনিটে একটি বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে এসবি। এসবির রাজনৈতিক উইংয়ের ডিআইজি স্বাক্ষরিত চিঠিতে ডিএমপি কমিশনার, সিটি এসবি, বিভাগীয় উপপুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম ও খুলনার স্পেশাল পুলিশ সুপারসহ দেশের সব জেলা পুলিশ সুপারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিকে ঘিরে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এ ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে ‘বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ’ সময় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।