বরগুনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সেইফের আয়োজনে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি সম্পন্ন
বরগুনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক হারে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অন্তত ২৩২ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়ে গেছে। বরগুনাকে ইতোমধ্যে ‘ডেঙ্গু হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাইন্স অ্যান্ড এডুকেশন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন (সেইফ) হাতে নিয়েছে একটি ব্যতিক্রমধর্মী পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি। কর্মসূচির উদ্যোগে ছিল র্যাপিড রেসপন্স টিম এবং জাগোনারী। সহযোগিতা করে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ভিত্তিক সংগঠন বিডি ক্লিন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে বরগুনা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে শুরু হয় দিনব্যাপী এই অভিযান। তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা পাড়া-মহল্লার অলিগলি পরিষ্কার করার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করেন এবং মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করে করণীয় জানান। এ সময় অসচ্ছল পরিবার ও রিকশাচালকদের মাঝে মশার কয়েল বিতরণও করা হয়।
সেইফ সভাপতি ও বরগুনা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক এহসান আহমাদ নোমান বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধ শুধু ব্যক্তি উদ্যোগে নয়, সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে সম্মিলিতভাবে কাজ করাটাই জরুরি। তরুণদের নিয়ে আমরা এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি, যাতে তারা সচেতন হয়ে ভবিষ্যতে নিজেরাই এ ধরনের সামাজিক কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিতে পারে।”
সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম হিমেল বলেন, “সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধ অসম্ভব। আমরা যদি আমাদের বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখি এবং পানি জমে থাকার স্থানগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করি, তবে এই ভয়াবহ রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব।”
বিডি ক্লিন বরগুনা জেলার সমন্বয়ক নাঈম ইসলাম বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে শুধু কিছু সংগঠনের একক প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। এটি একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিতে হবে। সবাই সচেতন হলে তবেই আমরা ডেঙ্গুমুক্ত বরগুনা গড়ে তুলতে পারব।”
এই উদ্যোগ নতুন করে প্রমাণ করল—সচেতনতা, সহযোগিতা ও তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে যেকোনো সামাজিক সংকট মোকাবিলা সম্ভব।