শক্রবার ২৮ নভেম্বার ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
আন্তর্জাতিক

গিনির প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার, ক্ষমতা দখল করল গিনির সেনাবাহিনী

সংগৃহীত ২৭ নভেম্বার ২০২৫ ১১:২৩ পি.এম

গিনির প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার, ক্ষমতা দখল করল গিনির সেনাবাহিনী গিনির প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার, ক্ষমতা দখল করল গিনির সেনাবাহিনী

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউয়ের নিয়ন্ত্রণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ হাতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। এর আগে তারা প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালোকে হেফাজতে নেয়। সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জটিলতা ও দুই প্রার্থীর নিজ নিজ বিজয় দাবি উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে, যা শেষ পর্যন্ত অভ্যুত্থানে রূপ নেয়।


২৬ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ রোজ বুধবার , সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে জানান, দেশের দায়িত্ব এখন তাদের হাতে। নিজেদের ‘উচ্চ সামরিক কমান্ড’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে তারা জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য।


সামরিক বাহিনী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে। আকাশ, স্থল ও নৌ—তিন ধরনের সীমান্তই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং রাতের সময় কারফিউ কার্যকর করা হয়েছে।


এর আগে রাজধানীর প্রেসিডেন্ট ভবন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের আশপাশে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। কিছুক্ষণ পরই ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণা আসে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন
 খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের দোয়া

গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট এমবালো এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফার্নান্দো দিয়াসের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। তারা দুজনই নিজেদের জয়ী বলে দাবি করেন। বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের কথা থাকলেও তার আগেই সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে।


এএফপিকে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত ফোন আলাপে প্রেসিডেন্ট এমবালো জানান, আমাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি এখন সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ সদর দপ্তরে অবস্থান করছি।


প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান বিরোধী নেতা ডমিঙ্গোস সিমোয়েস পিরেইরাকেও আটক করা হয়েছে।


আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেনাবাহিনী দেশের ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত করার চেষ্টা করছে এবং কারফিউ কঠোরভাবে কার্যকর করা হয়েছে।


এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধান ডেনিস এন’কানহা—যিনি সাধারণত প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন। এবার তিনিই প্রেসিডেন্টকে আটক করেছেন।


১৯৭৪ সালে পর্তুগালের শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর গিনি-বিসাউয়ে কয়েক দফা অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থান-চেষ্টা দেখা গেছে। এবারের নির্বাচন নিয়েও ব্যাপক বিতর্ক ছিল, কারণ প্রধান বিরোধী দলকে ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।


এই সম্পর্কিত আরও খবর