বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাবার ঘর থেকে প্রাপ্তি বালা (১১) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝু’লন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ওই স্কুল ছাত্রীর মৃ*ত্যু নিয়ে এলাকায় নানা গুনজন রয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রোজ রবিবার বেলা ১১টায় ধুনট থানা থেকে প্রাপ্তি বালার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাপ্তি বালা উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের যমুনা পাড়ের বানিয়াজান গ্রামের পবন চন্দ্র মন্ডলের মেয়ে। সে বানিয়াজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর ভাঙন জনপদের দিনমজুর পবন চন্দ্রের স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে অভাব অনটনের সংসার। পবন চন্দ্র ও তার স্ত্রী উপুলী রানী দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অন্যান্য দিনের ন্যায় শনিবার সকালে প্রাপ্তি বালাকে বাড়িতে রেখে পবন চন্দ্র ও উপুলী রানী যমুনা নদীর চরে দিনমজুরের কাজ করতে যান।
ওই সময় বাড়িতে একা ছিল প্রাপ্তি বালা। সন্ধ্যা ৬টায় পবন চন্দ্র ও উপুলী রানী যমুনা নদীর চর থেকে বাড়িতে ফেরেন। তারা ঘরের দরজা খুলে ভেতরে দেখতে পান ধরনার সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় প্রাপ্তি বালার ঝুলন্ত লাশ। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ রাত ৮টায় ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্তি বালার মৃ*তদেহ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল সাড়ে ৫ টায় বাড়ির পাশের দোকান থেকে বিস্কুট কিনে এনেছে প্রাপ্তি বালা। ওই সময় তার চোখে মুখে হাসি ছিল। এই মেয়ে কি কারণে আ ত্ম হ ত্যা করবে? তবে মেয়েটির মৃত্যু রহস্যজনক বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে নিহত প্রাপ্তি বালার বাবা পবন চন্দ্র মন্ডল বলেন, মেয়েকে একা বাড়িতে রেখে সকালে চরে কাজ করতে গিয়েছি। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে মেয়ের ঝুলন্ত লা*শ দেখতে পাই। আমাদের কোন শ’ত্রু নেই। মেয়ে কেন আ ত্ম হ ত্যা করছে তাও সঠিক করে বলতে পারছি না। তবে এ মৃ*ত্যু নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক (ইউডি) মৃ*ত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত প্রাপ্তি বালার মৃ*ত্যুর সঠিক করণ বলা সম্ভব হচ্ছে না।