১৭ জুন মঙ্গলবার শেরপুর জেলায় গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশগ্রহণে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৭ জুন মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় আয়োজিত ওই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেন, অল্প সময়ে এবং স্বল্প খরচে স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম প্রশংসিত। প্রান্তিক পর্যায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বাসযোগ্য সমাজ গড়তে গ্রাম আদালতকে আরো সক্রিয় করতে প্রশাসন কাজ করে যাবে। পাশাপাশি গ্রাম আদালতের সুবিধার বিষয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে অবহিত করতে স্থানীয় সচেতন মহল ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা রাখতে হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শাহ শিবলী সাদিক, প্রেসক্লাব সভাপতি কাকন রেজা, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী প্রমুখ।
কর্মশালায় জানানো হয়, গত এক বছরে জেলার গ্রাম আদালতগুলোতে মামলা দায়ের হয়েছে ২ হাজার ৮২ টি। এর মধ্যে ৯৬.৪৯ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ওই সময়ে আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ৪ কোটি ৯২ লক্ষ ৯ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে।
কর্মশালায় জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিওকর্মী ও বিভিন্ন প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।