২৫ জুন বুধবার দুপুর ২ ঘটিকায় পুলিশের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে জামালপুর জেলা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত এবং জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA)-এর সহায়তায় “বাংলাদেশ পুলিশের জন্য লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা (GBV) প্রতিরোধে মানক পরিচালন পদ্ধতি (SOP) বিষয়ক প্রশিক্ষণ” ২ দিনব্যাপী চলমান এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম-সেবা, পুলিশ সুপার, জামালপুর মহোদয়।
পুলিশ সুপার মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে কেবল আইনগত সহায়তা নয়, মানসিক কাউন্সেলিং ও দায়িত্বশীল আচরণ অত্যন্ত জরুরি। আমাদের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে মানবিকতা এবং সহানুভূতি থাকতে হবে। তিনি বলেন, নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কে কর্মরত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি।
এসব ক্ষেত্রে শুধু আইনের প্রয়োগ নয়, বরং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে অনেক সমস্যারই সমাধান সম্ভব। বিশেষ করে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলাগুলোতে সঠিকভাবে কাউন্সেলিং প্রদান করা গেলে মামলা অনেকাংশে কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সমাজে পারিবারিক অস্থিরতা ও মানসিক সংকট থেকে অনেক সামাজিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এসব ব্যর্থতা রোধে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। একজন নারী হিসেবে নারীদের সমস্যাগুলো যদি কেউ আন্তরিকভাবে অনুধাবন করতে পারেন, তাহলে সেগুলোর কার্যকর সমাধানও সম্ভব হবে।
পুলিশ সুপার মহোদয় প্রশংসা করে বলেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসনীয়। যারা এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন, আশা করা যায়—এই ০২ (দুই) দিনের অভিজ্ঞতা তাদেরকে কিছুটা হলেও সংবেদনশীল ও সচেতন করে তুলেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রোগ্রাম বিভিন্ন সেক্টর বা অঞ্চলে আয়োজন করা হলে বাংলাদেশ পুলিশ উপকৃত হবে, আর পুলিশ উপকৃত হলে সারা দেশই উপকৃত হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ সোহেল মাহমুদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), জামালপুর; জনাব ইয়াহিয়া আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, জামালপুর; জনাব স্বাগতা ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিআইডি, জামালপুর; জনাব মোঃ আতাহার আলী (UNFPA), মাঠ কর্মকর্তাসহ জামালপুর জেলায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কে কর্মরত পুলিশ সদস্যবৃন্দ।