বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কারের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, বর্তমানের ‘গণতন্ত্র’ বহাল রেখে রাষ্ট্র পরিচালনার নতুন আরও চারটি মূলনীতির সুপারিশ করা হলো। সুপারিশ করা নতুন পাঁচটি মূলনীতি হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র।
তিন মূলনীতি বাদ দেয়ার বিষয়ে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমিশন সংবিধানের মূলনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ এবং এ সংশ্লিষ্ট সংবিধানের ৮, ৯, ১০ ও ১২ অনুচ্ছেদগুলো বাদ দেয়ার সুপারিশ করছে।
এ সময় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ তাদের প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি জানান, তারা সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের সুপারিশ করেছেন। এ ছাড়া দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ চালুরও সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিকে বুধবার সংবিধান সংস্কারসহ চারটি কমিটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের হাতে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এ নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনগুলোর দেয়া প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নের পথে যাবে সরকার। সুপারিশ বাস্তবায়ন নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছার ওপর।
সংস্কার কীভাবে হবে সে নিয়ে তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সব সংস্কারের বিষয়ে সরকারের ঐকমত্য হবে, ততটুকুই বাস্তবায়ন করা হবে।